যুক্তরাষ্ট্রের দাবি

মিয়ানমারে রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত রয়েছে

শেয়ার বিজ ডেস্ক : রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণে আন্তর্জাতিক একটি কনভেনশন লঙ্ঘন করছে মিয়ানমার এবং ১৯৮০ সাল থেকে তাদের কাছে যে রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত ছিল, তা এখনও থাকতে পারে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সোমবার রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) বার্ষিক বৈঠকে এ অভিযোগ করেন মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি থমাস ডিনানো। খবর: ডয়চে ভেলে।

রাসায়নিক অস্ত্র চুক্তিতে (সিডব্লিউসি) এ ধরনের অস্ত্র তৈরি, মজুত ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৫ সালে এ চুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয় মিয়ানমার।  নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে ওপিসিডব্লিউর বৈঠকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্মকর্তা থমাস ডিনানো বলেন, মিয়ানমারের রাসায়নিক অস্ত্র স্থাপনায় এখনও অস্ত্রের মজুত রয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ওয়াশিংটনের কাছে তথ্য রয়েছে, মিয়ানমারের কাছে এখনও আশির দশকের সালফার মাস্টার্ড (রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহƒত গ্যাস) প্রকল্প ও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির কারখানা রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাপ্ত তথ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করছে যে, অতীতের রাসায়নিক অস্ত্র প্রকল্পের কথা স্বীকার ও রাসায়নিক অস্ত্র কারখানা ধ্বংস না করে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক চুক্তি (সিডব্লিউসি) মানছে না। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এর আগেও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি ও ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

২০১৩ সালের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটির পুলিশ উত্তরাঞ্চলীয় একটি তামাখনিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর ফসফরাস ছুড়ে গুরুতর দগ্ধ করেছে। ২০১৪ সালে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির বিষয়ে প্রতিবেদন করায় মিয়ানমার পাঁচ সাংবাদিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এছাড়া গত বছর দেশটির আধাসামরিক সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু কাচিন বিদ্রোহীদের ওপরও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। তবে বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে চায় ওয়াশিংটন। এছাড়া মজুত রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসে সাহায্য করতেও প্রস্তুত তারা।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০