নিজস্ব প্রতিবেদক: মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৯৮৮ একর জমিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপনের প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে এসেছেন চীনের একদল বিনিয়োগকারী। গতকাল বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সিচুয়ান সিল্করোড ইকোনমিক বেল্ট ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান লুচ্যাং ওয়েন ও বেজার নির্বাহী সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) হারুনুর রশীদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিচুয়ান চেম্বার অব কমার্স মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রাথমিকভাবে এক দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।
প্রস্তাবিত বিনিয়োগের আওতায় শিল্পোৎপাদন অঞ্চল থাকবে, যেখানে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও বিকল্প শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অটোমোবাইল ও মোটরসাইকেল উৎপাদন করা হবে, কৃষিকাজের জন্য উপযোগী যন্ত্রাংশ তৈরি করা হবে ও সেইসঙ্গে গবাদিপশুর জন্য খাদ্য উৎপাদন করা হবে।
এছাড়া স্টিল, টেক্সটাইল ও খাদ্য উৎপাদনের জন্য একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মিত হবে এবং একটি পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হবে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অব্যাহত সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করে তুলতে এ এলাকায় ‘সিনো-বাংলা কালচারাল কমিউনিকেশন এরিয়া’ গড়ে তোলা হবে বলেও জানানো হয়।
এর মধ্য দিয়ে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান এবং ৪০ বিলিয়ন ডলার রফতানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলে বেজা কর্মকর্তারা আশা করছেন।
চুক্তি সই-পরবর্তী সংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলকে বঙ্গবন্ধু শিল্পপার্ক হিসেবে নামকরণের জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। প্রায় ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে একটি পরিকল্পিত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
তারা দীর্ঘদিন আগে এই প্রস্তাবগুলো আমাদের কাছে রেখেছিলেন। আমরা তাদের আমন্ত্রণ করি যাতে তারা নিজের চোখে প্রকল্প এলাকা দেখে গিয়ে চুক্তি করতে পারেন। চীন ছাড়াও জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ইকোনমিক জোনগুলোতে বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানান পবন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব হাতে এসেছে। এর সঙ্গে চীনের সিচুয়ান সিল্করোড চেম্বারের বিনিয়োগ যোগ হলো। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই প্রস্তাব বাস্তবের মুখ দেখবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০৩০ সালের মধ্যে সারা দেশে একশ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বেজা।’
তাদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ৯৮৮ দশমিক ৫০ একর জমির একটি অংশে শিল্প উৎপাদন অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। সেখানে অটোমোবাইল ও মোটরসাইকেল, কৃষি যন্ত্রপাতি ও গবাদিপশুর খাবার উৎপাদন করা হবে। এছাড়া স্টিল, টেক্সটাইল ও খাদ্য উৎপাদনের জন্য বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে চান চীনা বিনিয়োগকারীরা। দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলারও পরিকল্পনা আছে তাদের।
মিরসরাইয়ে ১৫৯ কোটি ডলার বিনিয়োগে আগ্রহী চীন
