নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিবিধ খাতের কোম্পানি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩১ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে তিন কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৩৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৬৫ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৪ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৪ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৮৭ শেয়ার এক হাজার ৬৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর চার কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ২৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২৫ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য চার শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৮৫ পয়সা। আর ওই সময় মোট মুনাফা করেছে ৭৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে আট শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৭১ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে তিন কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। বিবিধ খাতের কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির মোট তিন কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার ৫৭ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ শতাংশ, এবং বাকি ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১০৬ দশমিক ৫২।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড। ফান্ডটির ইউনিট দর বেড়েছে ২৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ফান্ডটির প্রতিদিন এক কোটি ৭১ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে আট কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকার শেয়ার।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে ফান্ডটির ইউনিট দর পাঁচ দশমিক শূন্য চার শতাংশ বা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১২ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১২ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৬ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮৫টি ইউনিট মোট ৪২০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর দিনভর ইউনিটদর সর্বনিন্ম ১১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে ইউনিটদর ছয় টাকা ১০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড। ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন চার কোটি ৪৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ২৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকার শেয়ার।
এর পরের অবস্থানে ছিল যথাক্রমে এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড ও ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস লিমিটেড।
এ ক্যাটেগরির এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের শেয়ারদর বেড়েছে ২৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন এক কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার ৬০০ টাকার ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে সাত কোটি ৫৮ লাখ ১৩ হাজার টাকার ইউনিট।
আর ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানি ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন এক কোটি ৭৭ লাখ ৬৯ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে আট কোটি ৮৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকার শেয়ার।
এর পরের অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানি দেশ গার্মেন্ট লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২০ দশমিক ৮০ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ৬৬ লাখ ৪৭ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে তিন কোটি ৩২ লাখ ৩৬ হাজার টাকার শেয়ার।
বিমা খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ছয় কোটি দুই লাখ ৭১ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ১৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকার শেয়ার।