নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির নেতারা আটক বা গ্রেফতার নয়, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডিবিতে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের নিজেই এ তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান অভিযোগ করে বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা দলের এই দুই নেতাকে তাদের বাসা থেকে নিয়ে গেছেন। তিনি জানান, ডিবি পুলিশ রাত তিনটার দিকে উত্তরার বাসা থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এবং একই সময় ঢাকার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে আটক করে নিয়ে গেছে।
ডিবি প্রধান বলেন, গত বুধবারের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানে প্রায় ৫০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ওই ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাদের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর থেকে ককটেল ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি উদ্ধার করা হয়।
হারুন অর রশীদ বলেন, আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ। এই সমাবেশকে সামনে রেখে কোনও নাশকতার পরিকল্পনা রয়েছে কিনা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেফতার দেখানো অথবা মামলা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমরা বিস্তারিত জানাবো।
সমাবেশস্থল নিয়ে আলোচনা করার জন্যই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, নানা কারণে সমাবেশস্থল মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজই করতে হবে।
সমাবেশ কোথায় হবে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের কমলাপুর স্টেডিয়ামের প্রস্তাবটা আমরা মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে এখন ক্রিকেট খেলা চলছে, নিচে অনেক সিনথেটিক জিনিসপত্র রয়েছে। এই অবস্থায় সমাবেশ করলে মাঠটি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে- তারা সমাবেশ করবে মিরপুর বাঙলা কলেজের মাঠে।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আরও একটি মাঠের প্রস্তাব এসেছে। সেটা হলো গোলাপবাগ মাঠ।আসলে এই মাঠ নিয়ে কোনও কথা হয়নি। কোনও সিদ্ধান্ত হয় নাই। কিন্তু অনানুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়েছে মিরপুর বাঙলা কলেজ।