‘মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই’

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক জানিয়েছেন, আবারও সরকারের পতনের কর্মসূচি আসবে। তিনি বলেন, ‘অন্যায়-অত্যাচার আর নির্যাতন, সবকিছুর হিসাব নেয়া হবে। লড়াই করে একদলীয় শাসন বিদায় করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে।’

গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যান্য রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। বিএনপির আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দলের জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘সরকার আজ বিএনপিকে অবহেলা করে কথা বলে। অথচ আপনাদের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। আমরা সৎ আছি, ন্যায়ের পথে আছি। এজন্য বিদেশের মাটিতে আমার নেত্রীর এক ছটাক জায়গা-জমিও নেই। স্বৈরাচাররা ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে। মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস আপনাদের কাছে আমরা ক্ষমা চাই। জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকলেও কেবল এই রাষ্ট্রযন্ত্রের জন্য কিছু করতে পারছি না।’

দ্রব্যমূল্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘হায়রে কপাল, হায়রে দেশ, হায়রে মানুষ, হায়রে আওয়ামী লীগ! সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা দাপটের কথা বলেন, তাদের লজ্জা হয় না। দাপট দিয়ে কথা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করেন, আর ভেতর দিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করেন। সিন্ডিকেটের টাকায় সরকারেরও শেয়ার আছে। সেই সিন্ডিকেটের টাকায় আজ মালয়েশিয়া-কানাডা-ব্যাংকক-সিঙ্গাপুরে বাসা বানিয়েছেন, বাড়ি বানিয়েছেন, ব্যবসা বাড়িয়েছেন, আর বাংলাদেশের গরিব মানুষ একটা ডিম কিনে খেতে পারে না; এক কেজি দূরে থাক, এক ছটাক মাংস কিনে খেতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রুখতে পারে না, যারা মানুষকে ঘরে শান্তিতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করে দিতে পারেন না, যারা উন্নয়নের নামে মেগা প্রজেক্টের নামে কোটি কোটি টাকা লুট করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। কারণ এ সরকার জনগণের সরকার নয়, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০