নিজস্ব প্রতিবেদক: মিলাররা কেন চাল দিচ্ছে না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। পাশাপাশি ফুড গ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া কেউ যেন খাদ্য মজুত না করে, সেটি মনিটর করতে হবে।
গতকাল সচিবালয়ে ‘অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ, ২০২১’ অভিযানে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বোরো সংগ্রহের ব্যর্থতায় কোনো অজুহাত চলবে না। যারা এরই মধ্যে সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন, তাদের নতুন করে বরাদ্দ দেয়া হবে।’ একই সঙ্গে যাদের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘কোনোভাবেই সরকার ফড়িয়াদের কাছ থেকে ধান কিনবে না। প্রকৃত কৃষকের ধান কেনাই খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মূল লক্ষ্য।’ মিলাররা যেন নির্ধারিত সময়ে চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ করেন, তা নিশ্চিত করতে তিনি খাদ্য কর্মকর্তাদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সংগ্রহ লক্ষ্যের ৭৫ শতাংশ অর্জন করার নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখতে হবে খাদ্য অধিদপ্তর ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে। যেকোনো দুর্যোগে সংগৃহীত এ খাদ্যশস্য মূল ভূমিকা রাখে।’
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘মিলাররা কেন চাল সরবরাহে গড়িমসি করছেন, তা মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের খতিয়ে দেখতে হবে। মাঠপর্যায়ের তথ্য সঠিক হলে পরিকল্পনা করা সহজ হয়।’
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিসিদের সঙ্গে সমন্বয় করে বাজার ও মিলগেট মনিটরে খাদ্য কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।