শেয়ার বিজ ডেস্ক: মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আবদেল মোনেম আবুল ফোতুহ ও মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন মিসরের একটি আদালত। খবর: রয়টার্স।
‘মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ও সরকার উৎখাতের’ ষড়যন্ত্রের দায়ে তাদের দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
৭০ বছর বয়সী আবদেল মোনেমকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তার পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন তিনি। এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া আবুল ফোতুহের স্ট্রং ইজিপ্ট পার্টির উপ-প্রধান মোহাম্মদ এল-কাসাসের বিরুদ্ধে ১০ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করেন আদালত।
মিসরের নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুডের সাবেক শীর্ষ নেতা মাহমুদ এজ্জাতকে দেয়া হয়েছে ১৫ বছরের সাজা। এজ্জাতের বয়স ৭৭ বছর। এরই মধ্যে অন্যান্য রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন তিনি। দুটি পৃথক মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
একই অভিযোগে ১৫ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন মোয়াজ আল-শারকাউই। এমন রায়ের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে মিসরের বিভিন্ন গোষ্ঠী।
আবুল ফোতুহ ও এল-কাসাসের মতো ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
এই বিচার ভিন্নমতের বিরুদ্ধে সরকারের দমন-পীড়নের অংশ, যা শুধু ইসলামপন্থী রাজনৈতিক বিরোধীদেরই নয়, বরং গণতন্ত্রপন্থী কর্মী ও সাংবাদিকদেরও লক্ষ করে করা হয়েছে বলে নিন্দা জানায় নানা সংস্থা।
আবুল ফতুহ ব্রাদারহুডের সাবেক জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি ২০১১ সালে মিসরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট আবদেল এল-সিসির সরকারের কঠোর সমালোচনা প্রকাশ করার পর ফতুহ ও এল-কাসাসকে ২০১৮ সালের ফেব্রæয়ারিতে জেলে পাঠানো হয়েছিল। পরে ২০১৩ সালে ব্যাপক বিক্ষোভের পর ব্রাদারহুডের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার নেতৃত্বে তৎকালীন সেনাপ্রধান সিসি ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করেন।
