শেয়ার বিজ ডেস্ক: বার্ষিক ভিত্তিতে অর্থাৎ গত বছরের সাপেক্ষে চলতি বছরে মরক্কোর মূল্যস্ফীতি রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিল ৪০ শতাংশ, যা অব্যাহত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই হার আরও বৃদ্ধি পাবে। খবর: ডেইলি সাবাহ।
গতকাল রোববার প্রকাশিত সরকারি তথ্যে দেখা গেছে, নগদ অর্থের সংকটে ভুগছে মিসর। এ কারণে একদিকে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন হচ্ছে।
গত মাসে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ, এর আগের মাসে যা ছিল ৩৮ দশমিক ২ শতাংশ।
রাষ্ট্রায়ত্ত সেন্ট্রাল এজেন্সি ফর মোবিলাইজেশন অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকস এ তথ্য জানিয়েছে।
মাসের ভিত্তিতে গত মাসে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। জুলাইয়ের তুলনায় এ হার কম, সে সময় এই হার ছিল ১ দশমিক ৯ শতাংশ।
মিসরের অনেক খাতের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্যপণ্য, স্বাস্থ্যসেবা. আবাসন, আসবাব প্রভৃতি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে।
গতকাল সকালে প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে খাদ্য খাতেÑগত বছরের আগস্টের তুলনায় ৭০ শতাংশের বেশি। শস্যদানা, মাংস, পোলট্রি, মাছ ও ফলের দাম তুলনামূলক বেশি বেড়েছে।
মূল্যস্ফীতির হার গত বছরের আগস্টের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। তখন রেকর্ড ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি রেকর্ড করা হয়। অর্থনৈতিক চাপের কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বিদেশি মুদ্রার ঘাটতি এবং স্থানীয় মুদ্রা ইজিপশিয়ান পাউন্ড দরপতনের কারণে ২০২২ সালে মূল্যস্ফীতি হয়।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এই মুদ্রার দর ৫০ শতাংশ কমে যায়। এ কারণে দেশটির নাগরিকরা সঞ্চয় করতে পারছেন না। কেননা জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতেই অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের মতে, এই সংকটের আগেও মিসরের ৩০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করতেন। আরও ৩০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র হওয়ার পথে বলে মনে করে সংস্থাটি।
আরব দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল মিসর বিশ্বে গম আমদানির শীর্ষে রয়েছে। দেশটিতে বেশিরভাগ গম আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে।