শেয়ার বিজ ডেস্ক: মিসরে প্রায় সাড়ে চার হাজার বছরের পুরোনো সূর্য মন্দিরের সন্ধান পেয়েছেন প্রতœতত্ত্ববিদরা। মিসরের হারিয়ে যাওয়া সূর্য মন্দিরগুলোর একটির সন্ধান পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রতœতত্ত্ববিদরা। মন্দিরটি খ্রিস্টপূর্ব ২৫ শতকের বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর: সিএনএন।
প্রতœতত্ত্ববিদদের এ গবেষণাটি ইউনিভার্সিটি অব ন্যাপলসের ল’ওরিয়েন্টাল ও পোলিশ একাডেমি অব সায়েন্স যৌথভাবে পরিচালনা করে।
গবেষকদলের অন্যতম প্রতœতত্ত্ববিদ পোল্যান্ডের ওয়ারশর পলিশ একাডেমি অব সায়েন্সের ইজিপটোলোজির মেডিটারেনিয়ান অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল কালচারের সহকারী অধ্যাপক ম্যাসিমিলিয়ানো নুজলো (যিনি কায়রোর মিশনের সহ-পরিচালক) গতকাল সিএনএনকে জানান, কায়রো থেকে ১২ মাইল দক্ষিণে অন্য একটি মন্দিরের নিচে চাপা পড়ে ছিল এ মন্দিরটি। এ মন্দিরটির খোঁজ যেখানে পাওয়া গেল, ১৮৯৮ সালে ঠিক সেখানেই আরেকটি মন্দিরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। এখন নতুন মন্দিরটির সন্ধান পাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে আগের মন্দিরটি এটির ওপরই নির্মিত হয়েছিল।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে প্রতœতত্ত্ববিদরা সূর্য মন্দিরটির সামান্য একটি অংশের খোঁজ পেয়েছিলেন। তবে তখন তারা মনে করেছিলেন এটা তাদের আবিষ্কৃত মন্দিরটিরই পূর্ববর্তী অংশ। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, সেটা আসলে সম্পূর্ণ আলাদা একটা মন্দির ছিল।
পুরো মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে মাটির ইট দিয়ে। ইতিহাস বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মোট ছয়টি সূর্য মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র দুটির সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। এখন পর্যন্ত জানা যায়, সূর্য মন্দিরগুলোর সবগুলোই খুবই কাছাকাছি এলাকায় নির্মিত হয়েছিল।
এ মন্দিরটি যেভাবে নির্মিত হয়েছিল অর্থাৎ মাটির ইট দিয়ে, সেভাবে নির্মিত স্থাপনাগুলো খুব একটা বেশি টেকসই হয় না। কোন রাজার শাসনামলে মন্দিরটা নির্মাণ করা হয়েছিল, সেটা এখনও নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারেননি সেখানে কাজ করা প্রতœতত্ত্ববিদরা।
গবেষকরা বলছেন, সার্বিকভাবে এ আবিষ্কার ওই সময়ের মানুষদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে বুঝতে সহায়ক হবে। যেমন তারা কী খেত, তাদের বিশ্বাসরীতি কেমন ছিল, এসব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
