শেয়ার বিজ ডেস্ক: মিয়ানমারের শান প্রদেশে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপ তাঙ্গ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৪ জন। খবর এএফপি।
আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার কাজে সহযোগিতাকারী স্থানীয় এক এনজিও কর্মকর্তা থাউং তুন জানান, নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা, এক বিদ্রোহী যোদ্ধা, সরকার সমর্থিত চার মিলিশিয়া ও দুজন বেসামরিক নারী রয়েছেন।
মানবাধিকার কর্মীরা জানান, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে তখন চীন সীমান্তের কাছে সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ রয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।
প্রতিবেদনমতে, গতকাল শনিবারের সংঘর্ষ হয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে টিএনএলএ’র। দেশটির উত্তরাঞ্চলে সায়ত্তশাসনের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামকারী সংগঠনের একটি হচ্ছে এই সংগঠন।
টিএনএলএ মুখপাত্র মেজর মাই আইক কিয়াও জানান, গতকাল ভোর ৫টা থেকে লড়াই শুরু হয়। লড়াই হয় মিউজের দুটি সামরিক ঘাঁটি এবং লাশিও শহরমুখী একটি ব্রিজে।
২০১১ সালে মিয়ানমারের কাচিন ও শান প্রদেশে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি ও সেনাবাহিনীর মধ্যকার যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ে। এর পর থেকে সংঘাতের মুখে অভ্যন্তরীণভাবে গৃহহারা হয়েছেন ৯০ হাজারের বেশি মানুষ। সহিসংতা থেকে পালিয়ে যাওয়া এসব মানুষের বেশিরভাগই খ্রিস্টধর্মাবলম্বী। তারা কাচিন প্রদেশের বিভিন্ন গির্জায় আশ্রয় নিয়েছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, সেনাবাহিনী এসব মানুষের ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মতো নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। সেনাবাহিনীর এই অভিযানকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
