মিয়ানমার সফরে পোপ ‘রোহিঙ্গা’ বলতে বারণ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: জটিল এক মুহূর্তে হামলা-হত্যা-নির্যাতনের শিকার জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের পরিস্থিতি দেখতে তিন দিনের মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন ক্যাথলিক চার্চপ্রধান পোপ ফ্রান্সিস। সোমবার (২৭ নভেম্বর)  এ ধর্মগুরুর দেশটির রাজধানী নেপিদোতে পৌঁছার কথা। মিয়ানমার সফরে পোপ যেন ‘রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা’র খাতিরে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির খ্রিস্টানরা। যদিও এর আগে পোপ ‘রোহিঙ্গা ভাইবোন’ শব্দটি ব্যবহার করে তাদের প্রতি সহমর্মিতার কথা উল্লেখ করেছিলেন। ফলে এখন দেখার বিষয়, পোপ এ সফরের ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেন কি না?

এর আগেও রাখাইনের সহিংসতা নিরসনে মিয়ানমার সরকার গঠিত কমিশনের প্রধান ও জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ও মিয়ানমারের কার্ডিনাল চার্লস মং বো পোপ তার সফরের সময় যেন ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার না করেন, তার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন। খ্রিস্টানরাও মিয়ানমারে সংখ্যালঘু। যদিও এর বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, যারা এরই মধ্যে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত এই দেশহীন জনগোষ্ঠীকে’ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ‘রোহিঙ্গা’ বলেই অভিহিত করে আসছে।

চলতি বছরের অক্টোবরে রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা সৃষ্টির পর সেখান থেকে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের বিরল উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মিয়ানমার ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি পরিহার করার পাশাপাশি এই জনগোষ্ঠীকে নিজেদের দেশের নাগরিক বা স্বতন্ত্র নৃগোষ্ঠী বলেও স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়। তারা এই মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ‘বাঙালি’ বলে অভিহিত করে থাকে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমার সফরে শেষে বাংলাদেশে আসবেন। ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করবেন তিনি।

ভ্যাটিকান থেকে জানানো হয়েছে,  পোপের সফর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন, সংকট নিরসনে আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগগুলোকে বেগবান করার কাজকে উৎসাহিত করবে। মিয়ানমার সফরকালে পোপ দেশটির নেত্রী অং সান সু চি এবং সেনাপ্রধান অং মিন হ্লাইয়েংর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

পোপ এমন একটি সময়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সফরে আসছেন, যার কিছু আগেই দেশ দুটির মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সেই চুক্তিতে আগামী দুই মাসের মধ্যে গত বছরের অক্টোবর থেকে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন শুরুর কথা বলা হলেও তা কবে নাগাদ শেষ হবে, সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়নি। বিবিসি।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০