মীরসরাইয়ে বেড়েছে বৈদ্যুতিক লাইট ও চার্জার ফ্যানের চাহিদা

ইমাম হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম): জ্বালানি তেলের সংকট কমাতে সরকার কর্তৃক এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে বাজারে বেড়েছে চার্জার ফ্যান ও বৈদ্যুতিক লাইটের চাহিদা। তীব্র গরমে লোডশেডিংয়ের হাত থেকে বাঁচতেই বিক্রি বেড়েছে এই সব ইলেকট্রনিক্স পণ্যের।

তার ধারবাহিকতায় মীরসরাইয়েও অতিরিক্ত গরম ও নিয়মিত লোডশেডিংয়ের কারণে বেড়েছে চার্জার ফ্যান লাইটের চাহিদা। এ সুযোগে নির্ধারিত দামের চেয়ে এক থেকে দেড় গুণ বেশি দামে ঐসব ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রি করছেন এলাকার বিক্রেতারা।

উপজেলার বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস মার্কেট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। ভোক্তারা অভিযোগ করে বলেন, অসহনীয় গরমের সুযোগে বাজারে বৈদ্যুতিক লাইট ও চার্জার ফ্যানের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে স্থানীয় দোকানদাররা অতিরিক্ত দাম চাইছেন।

চার্জার ফ্যান কিনতে আসা নুর নবী নামে একজন বলেন, যে ফ্যান আগে ২ হাজার ৮শত টাকায় কিনেছি, তা এখন ৩ হাজার ৮শত টাকা। সারা দিনে চার থেকে ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে। উপায় না দেখে বেশি দামেই কিনতে হলো চার্জার ফ্যান।

আলমগীর নামে আরেক ক্রেতা বলেন, বেশির ভাগ দোকানে চার্জার ফ্যান নেই। এই সুযোগে বাকি দোকানদাররা অতিরিক্ত দাম হাঁকাচ্ছেন। এটা অন্যায়।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মালের সংকট থাকায় অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
মেসার্স ছালেহ ইলেকট্রিকসের স্বত্বাধিকারী মোঃ মোরশেদ বলেন, বাজারে হঠাৎ ফ্যানের চাহিদা বেড়ে গেছে। তাই সংকট দেখা হয়েছে। বেশির ভাগ ক্রেতা চার্জার ফ্যান খুঁজছেন। খুচরা দোকানিরা এই সুযোগে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করছেন।

ফাতেমা ইলেকট্রিকসের স্বত্বাধিকারী গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চার্জার ফ্যান বিক্রি তিনগুণ বেড়েছে। এমনিতেই গরমের মৌসুম, তার ওপর লোডশেডিং। তবে, আমরা দাম বাড়াইনি। এই ফ্যানের দাম একটু বেশি। ক্রেতারা এখন নর্মাল ফ্যানের চেয়ে চার্জার ফ্যান বেশি কেনেন। গরমের দিনে সবসময়ই এই ফ্যানের বেচাবিক্রি বাড়ে।

চট্টগ্রাম জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমান বলেন, তীব্র গরমের কারণে ফ্যান, চার্জার ফ্যান ও এলইডি লাইটের চাহিদা বেড়েছে। যার সুযোগ নিয়ে বিক্রেতারা বেশি মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করছেন। পূর্বের পণ্য বেশি দামে বিক্রির দায়ে ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে।ভোক্তার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে শিগগিরই উপজেলার বাজার গুলোতে ও অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০