নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর, ২০২০-ডিসেম্বর, ২০২০) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সদ্য পুঁজিবাজারে আসা প্রকৌশল খাতের কোম্পানি মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছে ১১ কোটি সাত লাখ ২০ হাজার টাকা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ১১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ এ তিন মাসে মুনাফা কমেছে ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১১ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ১৫ পয়সা। আইপিও শেয়ার বিবেচনায় নিলে দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়াবে ৯২ পয়সা।
তবে প্রথম দুই প্রান্তিক (জুলাই, ২০২০- ডিসেম্বর, ২০২০) বা ছয় মাসে কোম্পানিটির (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ১৫ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল দুই টাকা সাত পয়সা। আর দুই প্রান্তিকে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২১ লাখ ৫১ হাজার টাকা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ২০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আর প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ার বিবেচনায় নিলে দুই প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস দাঁড়াবে এক টাকা ৭৮ পয়সা।
এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে আইপিও-পূর্ব পরিশোধিত শেয়ারের ভিত্তিতে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৬১ পয়সা, আইপিও-পরবর্তী পরিশোধিত শেয়ারের ভিত্তিতে যা দাঁড়াবে ৪৩ টাকা ৯৮ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ছিল ১০ কোটি, আইপিও শেয়ার বিবেচনায় নিলে যা দাঁড়াবে ১২ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৪৭।
এদিকে গতকাল থেকে ‘এন’ ক্যাটেগরিতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন কোম্পনিটির শেয়ার ৫০ শতাংশ বা ২৭ টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৮১ টাকায় হাতবদল হয়। এদিন মোট ৭৩০টি শেয়ার মাত্র ৪৫ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৬০ হাজার টাকা।
এদিকে গত ২১ জানুয়ারি মীর আকতারের আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের ২৪-৩০ ডিসেম্বর আইপিওর চাঁদা গ্রহণ চলে। তার আগে ৪-৭ অক্টোবর কোম্পানিটির আইপিও শেয়ারের প্রান্তসীমা মূল্য (কাট অফ প্রাইস) নির্ধারণের জন্য নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা প্রান্তসীমা মূল্য নির্ধারণ করেন ৬০ টাকা। পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ী, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এ দরের চেয়ে ১০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ৫৪ টাকায় কোম্পানিটির শেয়ার পান।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ৭৩৫তম কমিশন সভায় মীর আকতারের ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়া হয়। কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলন করবে। এ অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি সরঞ্জামাদি ও যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহ করবে।
প্রকৌশল খাতের এ কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভে আছে ২৮৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার রয়েছে ১২ কোটি সাত লাখ ৭১ হাজার ৫৪৭টি। এর মধ্যে ৪৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে, আট দশমিক ৬০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক আর বাকি ৪২ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।