একটি জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মানুষই মুখের সৌন্দর্য নিয়ে বেশি সচেতন। তাদের মতে, মুখেই সৌন্দর্য। এ সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় যদি অবাঞ্ছিত লোমে ভরা থাকে মুখ। বিশেষ করে নারীদের বেলায় এ কথা সম্পূর্ণভাবে প্রযোজ্য। এ বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে অনেকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। তবে অনেক ঘরোয়া পদ্ধতিও রয়েছে, যা অনুসরণ করে আপনিও এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। নিদেনপক্ষে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে চেষ্টা করে দেখতে পারেন পদ্ধতিগুলো:
# প্রথমেই বলে রাখা ভালো, ঘরোয়া পদ্ধতি কেবল মুখের লোমের ঘনত্ব কমাতে সাহায্য করে। এজন্য
ধৈর্যধারণ করতে হবে। নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিতে হবে
# একটা পাকা কলা দুই চামচ ওটমিলের সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি সপ্তাহে দুই দিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে মালিশ করুন। এতে লোমের ঘনত্ব কমে
# এক চামচ দই, এক চামচ বেসন ও পরিমাণমতো হলুদের গুঁড়া একটি পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট বানান। পেস্টটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন
# আধা কাপ ছোলার ছাতুর সঙ্গে এক চা চামচ দই, এক চামচ হলুদ গুঁড়ো ও এক কাপ দুধ মেশান। এ মিশ্রণটি প্রতিদিন মুখে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। পরে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন
# এক চামচ চিনি, আধা চামচ কর্নফ্লাওয়ার ও একটা ডিম ফেটিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর সপ্তাহের তিন দিন অন্তত ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন
# ২০০৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পুদিনা পাতা দিয়ে চা পান করলে মুখের লোম সচরাচর বাড়ে না। এজন্য দিনে দুবার পুদিনা-চা পান করতে হবে
# দুই চামচ পাকা পেঁপে বাটার সঙ্গে আধা চামচ হলুদগুঁড়ো ও তিন চামচ অ্যালোভেরা জেল মেশান। পরে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। সপ্তাহে তিন দিন এ মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন
# একটি পাতিলেবুর রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মুখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন
# এক চামচ বার্লি গুঁড়োর সঙ্গে এক চামচ দুধ ও আধা চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন
# দুই চামচ মেথি ও দুই চামচ মসুর ডাল একসঙ্গে গুঁড়ো করুন। এর সঙ্গে পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখার পরে উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কার্যকর ফল পেতে সপ্তাহে তিন দিন এ পেস্ট ব্যবহার করুন
