নিজস্ব প্রতিবেদক: মুজিবনগর সরকারের আরও ৩২ কর্মচারীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৬৫তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এদের স্বীকৃতির গেজেট জারি করা হয়েছে। এ ৩২ জনকে নিয়ে মুজিবনগর সরকারের মোট ৬৭০ জন কর্মচারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন।
সম্প্রতি ঢাকার ধানমন্ডির দৌলত আহমেদ ভূঁইয়া, লালমনিরহাট পাটগ্রামের মৃত মো. রফিকুল ইসলাম বসুনিয়া ও কাজি ফায়জুল বারি, ঢাকার আদাবরের শরীফা খাতুন, দিনাজপুর সদরের মৃত হাফিজ উদ্দীন আহাম্মদ, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার নিরঞ্জন ভৌমিক, খাগড়াছড়ির রামগড়ের সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, ঢাকার ইস্কাটনের কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর মো. আলতাফ হোসেন, পাবনার সুজানগরের মো. ইউসুফ আলী, চট্টগ্রামের রাউজানের রণজিৎ কুমার সেন, নীলফামারীর জলঢাকার মৃত আবদুল আজিজ বসুনিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মো. আবু তাহের, নওগাঁ সদরের অমূল্য রঞ্জন দাস এবং গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের মো. আবদুল হাসেম মিয়াকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।
নীলফামারীর ডিমলার মো. আবদুর রহমান, ঢাকার মোহাম্মদপুরের একে হেফাজত উল্লাহ, মৌলভীবাজারের রংগলাল সেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের মো. খলিলুর রহমান মোল্লা, রংপুর সদরের মো. আবদুল মান্নান, হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সত্যেন্দ্র কুমার দেব, কুমিল্লার কোতোয়ালির সুজিত কুমার রায়, ঢাকার শান্তিনগরের গৌর গোপাল ঘোষ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন।
এছাড়া ঢাকার উত্তরার আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, গাইবান্ধা সদরের মো. শাহ আলম, ঢাকার তেজগাঁওয়ের মো. জসিম উদ্দিন, নড়াইল সদরের নৃপেন্দ্র নাথ মজুমদার, রংপুর সদরের রমিজ উদ্দিন আহমেদ ও মৃত মোহাম্মদ আলী, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর মো. জয়নাল আবেদীন, নীলফামারীর জলঢাকার মো. খয়রাত হোসেন এবং লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার মো. আবদুল জলিল প্রামাণিককে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার বা মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন।