নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের আয়োজনে মুজিববর্ষ বানান ভুলের জন্য আয়োজকরা ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ায় আর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়নের এক প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের আয়োজনে দেশবাসীকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিজয় দিবসের দিন গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যে ডায়াসে দাঁড়িয়ে শপথবাক্য পাঠ করান, সেখানে ‘মুজিববর্ষ’ লেখায় ছিল ভুল। সেখানে ‘সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ’ এর পরিবর্তে লেখা ছিল ‘সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিবর্ষের শপথ’। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সর্বত্র ব্যাপক সমালোচনা হয়।
শেখ সেলিম বলেন, ‘যে বিষয়টা হয়েছে, তা নিয়ে আমরা গত মিটিংয়ে আলোচনা করেছি। উদ্যাপন কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। একটা হচ্ছে ইচ্ছাকৃত ভুল আর একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ ব্যাপারে, এটা যে ভুল হইছে সে ব্যাপারে উদ্যাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। যেহেতু ভুল স্বীকার করেছেন, সেখানে আর কার্যকর কি ব্যবস্থা হবে। এটা ভুলের জন্য তো তারা ক্ষমা চাইছে।’
এবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিবার যে কর্মসূচি থাকবে তাই থাকবে। কিন্তু এবার একটু ব্যতিক্রম হইল বঙ্গবন্ধু সেখানে শুয়ে আছে, টুঙ্গিপাড়ায় সেখানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা অনুষ্ঠান করব। সেখানে দেশের বুদ্ধিজীবী, দলের নেতারা ও সুশীল সমাজের মানুষের নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান, কবিতাসহ অনুষঙ্গিক যত কিছু আছে, সেগুলো হবে। সেখানে সুন্দরভাবে এই বিষয়গুলো আমরা করতে পারব।
এ কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকবেন জানিয়ে শেখ সেলিম বলেন, উনি ওখানে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ও দোয়া করবেন।”
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কুলে আওয়ামী লীগ ১১ ও ১২ জানুয়ারি আলোচনা সভা করবে। আর ১৩ থেকে ১৭ পর্যন্ত সেখানে মেলা হবে। এতে দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে। এর আয়োজন করবে শিল্পকলা একাডেমি।
