শেয়ার বিজ ডেস্ক:মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ, ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ ও ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক (প্রান), ক্লিন, বন্ধুসভা ও বিডব্লিউজিইডি’র উদ্যোগে তরুণদের একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নোয়াখালীর মুজিব স্কয়ারে গতকাল শনিবার বিকাল ৪টায় আয়োজিত এই সমাবেশে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সাথে সাথে এই পরিকল্পনার সাথে সাংঘর্ষিক ‘সমন্বিত বিদুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা’ (আইইপিএমপি) বাতিলের দাবিও জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার লক্ষ্যের সাথে মিল রেখে ‘সমন্বিত বিদুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা’ (আইইপিএমপি) প্রকল্পের লক্ষ্য একটি স্বল্প বা শুন্য নির্গমনকারী জ্বালানি চাহিদা ও সরবরাহের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যা জ্বালানি-নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং অর্থনৈতিকভাবে টেকসই হবে। কিন্তু প্র¯ত্মাবিত আইইপিএমপির চতুর্থ খসড়ায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বিপরীতে গিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ তথাকথিত পরিচ্ছন্ন জ্বালানি’র ল গ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই খসড়ায় ‘পরিচ্ছন জ্বালানির’ আওতায় ‘উন্নততর প্রযুক্তি’র নামে আমদানি-নির্ভর অনির্ভরযোগ্য তরল হাইড্রোজেন, অ্যামোনিয়া ও কার্বন সংরক্ষণ প্রযুক্তি প্রবর্তনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে; যা দেশের অথনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়া খসড়া পরিকল্পনায় ২০৫০ সাল নাগাদ ৩০.৭ শতাংশ জীবাশ্ম জ্বালানি (প্রধানত কয়লা ও এলএনজি), ৩২.৮ শতাংশ তথাকথিত ‘উন্নততর প্রযুক্তি’ এবং মাত্র ১৭.১ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার সাথে সুস্পষ্ট বিরোধিতা করছে।
বক্তারা বাংলাদেশ সরকারের কাছে, ভিশন ২০৪১-ও অধীনে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, জ্বালানি নিরাপত্তা ও নিরাপদ পরিবেশ সংরক্ষণে জাপানি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রণীত বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী খসড়া আইইপিএমপি অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানায়। পাশাপাশি মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার’র শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়নের জন্য সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ প্রাধান্য দিয়ে দেশজ মালিকানায় দেশের নীতি নির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হোক।
সমাবেশে মূল বক্তব্য প্রদানের পর তরুণরা একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে শুরু করে নোয়াখালী মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, প্রানের কর্মসূচি কর্মকর্তা জাহিদ মোহাম্মদ ইমরান, নোয়াখালী বন্ধুসভার সভাপতি মাছুম বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আসিফ আহমেদ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জানিসা আফরোজ, সহ সভাপতি জাহিদ হাসান, আবু তাহের, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং নোবিপ্রবি বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান, রোটারি ক্লাব সদস্য সানজিদ মুনতাসির শান প্রমুখ।