নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন একটি প্রডাকশন লাইন স্থাপন করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড। আর নতুন এই লাইনে মুড়ি উৎপাদন করবে প্রতিষ্ঠানটি, যা কিনা ‘ফু-ওয়াং মুড়ি’ নামে বাজারজাত করা হবে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে স্টেকহোল্ডারদের এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, কোম্পানিটি তাদের গাজীপুরের বোকরানে অবস্থিত কারখানা প্রাঙ্গণে নতুন এই প্রোডাকশন লাইন স্থাপন করবে। এতে তাদের ব্যয় হবে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা। আর এই লাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন ১০ মেট্রিক টন মুড়ি উৎপাদন করা যাবে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ বাজারে এই মুড়ি পাওয়া যাবে। এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মদক্ষতা যাচাই করার জন্য সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২৬ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ১৮ পয়সা। এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৫ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরেও কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। সে সময়ে তাদের ইপিএস হয়েছিল পাঁচ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছিল ১১ টাকা ৮৫ পয়সা। ওই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৩৬ পয়সা।
২০০০ সালে পুঁজিবাজারে আসা ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ১১ কোটি আট লাখ ৩৯ হাজার ২৮৪টি। মোট শেয়ারের মধ্যে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হাতে, ১০ দশমিক ১১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, এক দশমিক ১০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে এবং ৮০ দশমিক ৯৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ২ পয়সা। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭০ পয়সা। এছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ পয়সা। এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ২৩ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই।