নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। ঢালাও পতনের পরে আগের দিন সূচক ৭৯ পয়েন্ট যোগ হয়। মনে করা হচ্ছিল পতনের ধারা থেকে বেরিয়ে উত্থানের দিকে এগুবে পুঁজিবাজার। কিন্তু এক দিন পর ব্যাপক দরপতনের মধ্য দিয়ে নেতিবাচক হয় পুঁজিবাজার।
সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, গতকালের ঊর্ধ্বমুখী গতি বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে পুঁজিবাজার। এর পেছনে অন্যতম কারণ হলো মঙ্গলবারে বড় উত্থানের পরে দরপতনের নতুন সার্কিট ব্রেকারের কারণে লাভে থাকা শেয়ারগুলো বিক্রির প্রতি ঝুঁকেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে বিক্রয় চাপ নেতিবাচক দিতে ধাবিত করেছে পুঁজিবাজারকে।
গতকাল ডিএসইতে ৮৬৩ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা কম। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৯৫৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার। লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বিবিধ খাত। মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ২ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। এর বাইরে বস্ত্র খাতে ১১ দশমিক ৮, ফার্মা ১০ দশমিক ৪, আইটি ৯ দশমিক ৬, ব্যাংক ৭ দশমিক ৪, প্রকৌশল ৭ দশমিক ১, খাদ্য ৬ দশমিক ৫, জীবন বিমা ৬ দশমিক ১ ও কাগজ খাতে ৫ দশমিক ২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। আর কোনো খাতের লেনদেন চার শতাংশ ছাড়ায়নি।
ডিএসইতে ৩৭৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টির, কমেছে ২৬৩টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৩৯টির। সিংহভাগ সিকিউরিটিজের দর পতনের ফলে সব খাতে দর পতন হয়েছে। তবে ভালো দিন গেছে বিমা খাতের বিনিয়োগকারীদের। এদিন জীবন বিমা খাতে ৭৬ শতাংশ ও সাধারণ বিমা খাতের ৪২ শতাংশ কোম্পানির দর বৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়া আর কোনো খাতে উল্লেখযোগ্য দর বৃদ্ধি দেখা যায়নি।
দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ছয় হাজার ৭৫০ পয়েন্টে। আর ইসলামী শরীয়াহ্ভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৫৬ পয়েন্টে। এছাড়া বাছাই করা ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৬৯ পয়েন্টে।
গতকাল সূচক নামিয়েছে বড় কোম্পানিগুলোর দরপতন। ওয়ালটনের শেয়ারের শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ মূল্য হ্রাসে সূচক কমেছে ৩ দশমিক ১৪ পয়েন্ট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ০২ পয়েন্ট কমিয়েছে রবি। কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক ১৬ শতাংশ। এছাড়া আইসিবি ১ দশমিক ৯৭, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স ১ দশমিক ৯৪, বেক্সিমকো ১ দশমিক ৫১, বেক্সিমকো ফার্মা ১ দশমিক ২৯, তিতাস গ্যাস ০ দশমিক ৮৫, ওরিয়ন ফার্মা ০ দশমিক ৫১, প্রিমিয়ার ব্যাংক ০ দশমিক ৪৯ ও আইএফআইসি ব্যাংক ০ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে। সব মিলিয়ে এই দশ কোম্পানির কারণে সূচক হ্রাস পেয়েছে ১৫ দশমিক ২১ পয়েন্ট।