মুনাফা তোলার চাপে নিন্মমুখী সূচক

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: টানা পাঁচ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল কিছুটা নি¤œমুখী দেখা গেছে ডিএসইর প্রধান সূচক। মূলত মুনাফা তোলার চাপেই গতকাল দিন শেষে সূচক নি¤œমুখী হতে দেখা যায়।

গতকালের বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, লেনদেনের শুরু থেকেই অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল। এর মূল কারণ, আগের পাঁচ কার্যদিবস বাজার পরিস্থিতি ভালো থাকায় মুনাফায় ছিলেন অধিকাংশ বিনিয়োগকারী। সে কারণে গতকাল বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই মুনাফা তুলতে চেয়েছেন। তাই দিনের শুরুতে সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও দিনের শেষে সূচকের কিছুটা নি¤œমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়।

গতকাল লেনদেন শুরু হলে কিছুক্ষণ অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়। এর পরপরই বাড়তে থাকে বিক্রয় চাপ। ফলে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমে যায়। আর দর কমতে দেখে ভীত হয়ে কিছু কম লাভে হলেও শেয়ার ছেড়ে দেন অধিকাংশ বিনিয়োগকারী।

অন্যদিকে গতকাল দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ছয় পয়েন্ট হ্রাস পায়। দিন শেষে সূচক স্থির হয় চার হাজার ৯৭১ পয়েন্টে। পাশাপাশি গতকাল ডিএসইতে লেদদেনও কিছুটা কমে যায়। এদিন ডিএসইতে মোট এক হাজার ৭৭ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ৩৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয় ব্লক মার্কেটে। ওই মার্কেটে মোট ২০ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়।

এদিকে গতকালের লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কয়েক দিনের বিরতি দিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিমা খাত। গতকাল বিনিয়োগকারীদের এই খাতের শেয়ারে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা যায়। যে কারণে এই খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়। অন্যদিকে দর বাড়তে থাকায় অনেক বিনিয়োগকারী বিক্রয় আদেশ প্রত্যাহার করে নেন। কেউ কেউ আবার বিক্রয় আদেশে দর বাড়িয়ে দেন। যে কারণে দিন শেষে এই খাতে লেনদেন খুব বেশি দেখা যায়নি। গতকাল মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান ৯ শতাংশের কিছু বেশি।

অন্যদিকে আগের কার্যদিবসের মতো গতকালও এগিয়ে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ২২ শতাংশ। ১৪ শতাংশ লেনদেন করে পরের অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। এছাড়া গতকাল টেলিযোগাযোগ, খাদ্য খাত ও আইটি খাতের শেয়ারে বেশ আগ্রহ দেখা যায় বিনিয়োগকারীদের।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০