মুনাফা তোলার চাপে পতন পুঁজিবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে গতকাল রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে পতন হয়েছে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। সূচকের সঙ্গে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের তিন কার্যদিবসে উত্থানের কারণে বিনিয়োগকারীরা কিছু শেয়ারে মুনাফা করছেন। তাদের মুনাফা তোলার চাপে গতকাল বাজারে কিছুটা সংশোধন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিবিধ খাতের ৪৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এদিন খাতটিতে মোট ৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে পাঁচটির দর বেড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিমা খাতের শেয়ার। খাতটির ৪২ দশমিক ৮৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এরপর ৪০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে চামড়া খাত। গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, সিরামিক, করপোরেট বন্ড ও আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধি বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার চাপ থাকায় তথ্য প্রযুক্তি খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটির ৯০ দশমিক ৯১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। শেয়ারদর কমায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাত। খাতটির ৮৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এরপর ৮০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত।

অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জর (ডিএসই) মোট লেনদেনের ২৫ দশমিক ৬২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৮২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে ডিএসইর ১০ দশমিক ২৮ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। আট দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হওয়া বিবিধ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

ডিএসইর তথ্য মতে, রোববার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৬৩ দশমিক ১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৬ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ২ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৮ দশমকি ৮৮ পয়েন্টে।

এদিন বাজারে লেনদেন হওয়া ২৯২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫২টির। বিপরীতে কমেছে ৯১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

বাজারে ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার ২১৪টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে; যা টাকার অঙ্কে ৩৮৭ কোটি ৩৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৭২ কোটি ৪০ লাখ ৩৪ হাজার টাকার শেয়ার, বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪১৮ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল সোনালী আঁশের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল রয়েল টিউলিপ সি পার্লের শেয়ার। এরপর রয়েছেÑ দেশবন্ধু, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স, লাফার্জহোলসিম, জেমিনি সি ফুড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ লিমিটেডের শেয়ার।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ৭ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে। সিএসইতে ১১৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৫টির, কমেছে ৪৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির।

দিন শেষে সিএসইতে ১৫ কোটি ৭৯ লাখ ৪২ হাজার ৩৯৩ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫ কোটি ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৮৬ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০