মুনাফা থেকে লোকসানে জিএসপি ফাইন্যান্স

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড। আর গত বছরের একই সময়ে মুনাফা করলেও চলতি বছরের এই প্রান্তিকে লোকসানে রয়েছে কোম্পানিটির । ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৭৫ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৮ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ২ টাকা ৯৩ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ২৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬৩ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ৪ টাকা ৮৮ পয়সা কমেছে।  এছাড়া ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৫৩ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৪৯ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ২৮ পয়সা  (ঘাটতি) ছিল।

এদিকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি জিএসপি ফাইন্যান্স লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা (লোকসান) এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৭৮ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা (লোকসান)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৬ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও সাড়ে সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ওই লভ্যাংশ প্রদানে অসম্মতি জানায়। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৩৫ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৮৪ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানিটি ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৫৭ কোটি ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৫৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১৫ কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮৫ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৪৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ শেয়ার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০