মুনাফা থেকে লোকসানে ফিনিক্স ফাইন্যান্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর আলোচিত এই সময়ে কোম্পানিটি লোকসান করলেও আগের বছরের একই সময়ে মুনাফায় ছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮৬ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল সাত পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে চার টাকা ৭৯ পয়সা। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ৪৭ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরে মুনাফা করলেও চলতি বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান গুনেছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ২৮ পয়সা (লোকসান)। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৫৩ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ৯০ পয়সা ছিল।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোঘণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৩৬ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ১৮ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সা (ঘাটতি)। ঘোষিত লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ৭ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ অক্টোবর।

এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১১ পয়সা (লোকসান)। আর ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫৪ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ছয় শতাংশ নগদ ও ছয় শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩৬ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা এক পয়সা। এর আগের বছরও কোম্পানিটি ছয় শতাংশ নগদ ও ছয় শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছিল। ওই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় এক টাকা ৮৯ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২ টাকা ৫০ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৬৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৬৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। কোম্পানির ১৬ কোটি ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার ১৯৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ দশমিক ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০