নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ল্যাম্পস লিমিটেড। আর আগের বছরের একই সমেয় কোম্পানিটি মুনাফায় থাকলেও আলোচিত এই সময়ে কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৬৩ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ টাকা ৬৩ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ৬ টাকা ২৬ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই- ডিসেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ২৩ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ২৮ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে ইপিএস কমেছে ১৪ টাকা ৫১ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা ৪৬ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ২৬ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ১ টাকা ৪৭ পয়সা (ঘাটতি) ছিল।
২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮২ টাকা ৯১ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ২১ টাকা ৫৯ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ এবং সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৭৮ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯০ টাকা ৯৯ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ৫ টাকা ৫২ পয়সা (লোকসান)।
১৯৮১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৭৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। মোট ১ কোটি ২৬ হাজার ৫৫১ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৬১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৩১ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।