নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি ২০২৩-২৪ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান হলেও এর আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানি মুনাফা করেছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১৩ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় ২৪ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৮২ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৮৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১০ টাকা ১১ পয়সা (লোকসান)।
এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ২৪ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৩ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ২২ টাকা ৭৬ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৭৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বরে ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৯৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ১৮ টাকা ১৯ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৫ টাকা ২০ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছিল ৩৪ টাকা ৬ পয়সা।
‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৪১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৯৭ লাখ দুই হাজার ৮৩৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে, গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ বা ৪ টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৩৪ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১১ হাজার ২৬২টি শেয়ার ৭৩ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ছিল ১৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্মি ১৩৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৩৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৬৭ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
