নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২২-২৩ হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের তুলনায় কমেছে। আলোচিত এই সময়ে কোম্পানিটির লোকসান গুনলেও আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি মুনাফা ছিল। কভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় আলোচিত সময়ে ইপিএস কমেছে। এছাড়া সমুদ্র পথে পরিবহনের উচ্চ খরচ এবং ডলারের দামের ওঠানামা প্রভৃতি কারণে আমদানিকৃত কাঁচামালের দর অনেক বেড়ে গেছে এবং নিট মুনাফা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু কোম্পানিকে পুরো বেতন এবং অন্য সব নির্দিষ্ট খরচ কমেনি বরং আগের মতোই দিতে হয়েছে। এর ফলে কারখানার উৎপাদন ও বিক্রয় হ্রাস পাওয়ায় ফলে কোম্পানির ইপিএস কমে গেছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় ২ টাকা ১৩ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৩৬ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ২০ পয়সা (লোকসান)।
সর্বশেষ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯৯ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছিল ৯৪ পয়সা (লোকসান)। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৭২ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ছয় কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ৬৫০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬৫ দশমিক ০৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দশমিক ৪৬ শতাংশ বা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১০৮ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১০৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। ওইদিন ১৫ হাজার ১৯৩টি শেয়ার মোট ৯৮ বার হাতবদল হয়। যার বাজার দর ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ১০৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৭৭ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।