Print Date & Time : 16 June 2025 Monday 10:26 pm

মুনাফা সংগ্রহের চাপে ভ্রমণ খাতে পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচক কমার মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক পতনেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি থাকায় শেয়ারদর বেশি বেড়েছে সিমেন্ট খাতের। অপরদিকে এদিন সূচক পতনের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা সংগ্রহের চাপ থাকায় ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল। চলতি সপ্তাহের প্রথম দু-তিন দিন খাতটিতে শেয়ারদর বাড়লেও শেষ দুই কার্যদিবসে পতন হয়েছে। এতে সপ্তাহের প্রথমে শেয়ারদর বৃদ্ধি পায়। তবে সপ্তাহের শেষের দিকে মুনাফা সংগ্রহে এ পতন হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সিমেন্ট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট সাতটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে চারটির দর বেড়েছে, একটির কমেছে এবং বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল জীবন বিমা খাতের শেয়ার। খাতটিতে দর বেড়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল সাধারণ বিমা খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, প্রকৌশলী, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় ভ্রমণ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা সিরামিক খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা বস্ত্র খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২ শতাংশ  লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্যাংক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হওয়া জীবন বিমা খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

ডিএসইর তথ্যমতে, বাজারটিতে ৩৭৪টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৩০ কোটি ৫১ লাখ ৪১ হাজার ৭৪৬টি শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৮৯৯ কোটি ২৫ লাখ চার হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৯০ কোটি ৬৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৫টির। বিপরীতে কমেছে ১১৮টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম।

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৩৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ৬ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএস-৩০ সূচক ১ দশমিক ৪১ পয়েন্ট কমে দ–ই হাজার ১৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ৬ দশমিক ৩২ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৭২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে ২২৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫০টির, কমেছে ৯৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৩টির দাম।

দিন শেষে সিএসইতে ২১ কোটি ২২ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৩ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২১ কোটি ৪৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭২২ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।