নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মুন্নু সিরামিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রত্যেক পরিচালককে এক কোটি টাকা করে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে স্বতন্ত্র পরিচালকরা এই শাস্তির বাইরে থাকবেন।
গতকাল বিএসইসির এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয় গণমাধ্যমকে। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সিকিউরিটিজ-সংক্রান্ত আইন ভঙ্গের দায়ে এ জরিমানা করা হয়। ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ চার পরিচালককে এজন্য চার কোটি টাকা জরিমানা গুনতে হবে। একইভাবে সভায় সিকিউরিটিজ-সংক্রান্ত আইন ভঙ্গের দায়ে মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিএসইসির মতে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭-এর রুল ১২-এর ১ ও ২ ধারা অনুযায়ী মুন্নু সিরামিকসের পরিচালকদের এ জরিমানা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অপরদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর ১৭(ই)-এর ২, ৩ ও ৪ উপধারা ভঙ্গের দায় আনা হয় মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন লিমিটেডের বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মুন্নু সিরামিকের শেয়ারদরে ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছিল। এর পেছনে ভূমিকা রাখে কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে অসংগতি ও মুনাফার পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিনিয়োগকারীরা। এ বিষয়টিও পর্যবেক্ষণে নেয় বিএসইসি। এছাড়া মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের শেয়ার বিক্রয় কার্যক্রম বøক মার্কেটে নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন হয়নি। এর কারণও ব্যাখ্যা করতে পারেনি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কোম্পানির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে জানা গেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ সিদ্ধান্তে কোম্পানির পক্ষ থেকে রিভিউ আবেদন করা হবে বিএসইসির কাছে।
এদিকে গতকালের সভায় তালকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ঘোষিত বোনাস ও রাইট শেয়ার সমন্বয়-পরবর্তী দরকে সংশোধিত ফ্লোর প্রাইস (সর্বনি¤œ দর) হিসেবে বিবেচনায় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এতদিন ফ্লোর প্রাইসের কারণে বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে ঠিকমতো সমন্বয় হতো না। কারণ এই ফ্লোরের কারণে বোনাস বা রাইট ইস্যু করা হলেও তা সমন্বয়ের মাধ্যমে কমার সুযোগ ছিল না। তবে সেই সমস্যা কাটিয়ে তুলতে বোনাস ও রাইট শেয়ার-পরবর্তী সমন্বিত দরকে সংশোধিত ফ্লোর প্রাইস বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বোনাস ও রাইট শেয়ার ঘোষণার রেকর্ড ডেট-পরবর্তী কোম্পানির সমন্বিত মূল্য সংশোধিত ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচিত হবে।
