মুন্সীগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ: দুই সন্তানের পর দগ্ধ পিতার মৃত্যু

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ চরমুক্তারপুর এলাকায় চারতলা ভবনের দুইতলায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিষ্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন ভাই-বোনের মৃত্যুর পর বাবাও চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বাবা মো. কাওসার(৪২) মারা যান। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ জনে।

নিহত কাউসার আবুল খায়ের কোম্পানির রিভার ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে মুন্সীগঞ্জে কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়।

চাকরির সুবাদে তিনি পরিবার নিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরমুক্তারপুর এলাকার একটি চারতলা ভবনের দুইতলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কাওসারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মুন্সীগঞ্জের চরমুক্তারপুর এলাকার একটি চারতলা ভবনের দুইতলার ফ্ল্যাটে অগ্নিকান্ডে একই পরিবারের দুই শিশুসন্তানসহ চারজন দগ্ধ হলে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এনে ভর্তি করানো হয়।

পরে সেদিনই কাউসারের দুই শিশু সন্তান ইয়াছিন (৫) ও নহর(৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আজ সকালে মারা যান কাউসার। তার শরীরের ৫৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

অপর দগ্ধ শান্তা বেগম (৩৮) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শরীরের ৪৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজন।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব খান জানান, গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকান্ডে দগ্ধ একই পরিবারের ভাই-বোন দুই শিশুর মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার সকালে বাবারও মৃত্যু হয়েছে খবর পেয়েছি। তাকে ঢাকায় ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। অপর দগ্ধ শিশুদের মা শান্তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০