Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 5:21 pm

মুন্সীগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভে হামলা, আহত ৩০

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা চালিয়েছে। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাফিজুর রহমানসহ অন্তত ৩০ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলার কশরীপাড়া বাইপাস সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ বিনা উসকানিতে পুলিশের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব হাফিজুল ইসলাম খান, মহিলা দলের নেতা সেলিনা রিনা, উপজেলা যুবদলের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, যুবদল নেতা মাসুদ রানা, বিএনপি নেতা মামুন, আবুল মৃধা, মো. রণি, আজিম, বাবুল ব্যাপারী, কাউসার হোসেন, আবুল কালাম, তানভীর হাসান, রোকেয়া বেগমসহ বেশ কয়েকজনকে বেদম মারধর করা হয়।

উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব হাফিজুল ইসলাম খান বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবেই বাইপাস সড়কে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা রামদা, হকিস্টিক, লোহার রড নিয়ে হামলা চালান। পুলিশ উপস্থিত থেকে পেটানোর নির্দেশ দেয়। হামলায় ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৫ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেকে ঢাকায় চলে গেছেন। পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের এমন হামলার জন্য তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

জানতে চাইলে শ্রীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম ইসলাম বলেন, শোকের মাস উপলক্ষ্যে তারা শ্রীনগর বাইপাস সড়কে শোকমিছিল করছিলেন। তখন বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের মিছিলে অতর্কিত হামলা করেন। এতে ছাত্রলীগের ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। হামলার খবরটি যখন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাদের আরও নেতাকর্মী আসেন। পরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। ছাত্রলীগ কোনো হামলা করেনি।

শ্রীনগর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিএনপির মিছিল থেকে ছাত্রলীগের উদ্দেশে দু-তিনটি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। তখন পুলিশ মাঝখানে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এমনকি দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছে দেয়।

পুলিশের বিরুদ্ধে আনা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারও পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গজারিয়া উপজেলা বিএনপি। গতকাল সকাল ১০টার দিকে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গজারিয়া ইউনিয়নের সোনালী মার্কেট এলাকায় জড়ো হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তবে সেখানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান ছিল। ফলে সেখানে বিক্ষোভ মিছিল না করতে পেরে রসুলপুর ফেরিঘাট এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে বিএনপি। মিছিলটি গজারিয়া উপজেলার প্রধান সড়ক ধরে গজারিয়া সরকারি কলেজ হয়ে আবার রসুলপুর খেয়াঘাট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ সিদ্দিক উল্লাহ ফরিদ, সদস্যসচিব আবদুর রহমান, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি মজিবুর রহমান প্রমুখ।