মুন্সীগঞ্জে ৩২ সেতু ঝুঁকিপূর্ণ

শেখ মোহাম্মদ রতন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের ৩২ সেতু রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। ফলে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও যাত্রীরা। এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুন্সীগঞ্জ-টঙ্গীবাড়ি-লৌহজং সড়কের দুটি বেইলি সেতু ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৯ জুলাই লৌহজংয়ের হলদিয়া ছাতি মসজিদ এলাকায় সিমেন্টভর্তি ট্রাকসহ বেইলি সেতু ভেঙে পড়ে খালে। এর আগে ১২ জুলাই একই সড়কে টঙ্গীবাড়ি ও লৌহজং সীমান্তবর্তী বালিগাঁও বাজার-সংলগ্ন নদীর তলদেশের মাটি ধসে বালিগাঁও বেইলি সেতুর একটি পিলার হেলে পড়ে। গত বছরের পাঁচ ডিসেম্বর টঙ্গীবাড়ি-সিরাজদিখান-ঢাকা সড়কের সিরাজদিখানের রশুনিয়া এলাকার বেইলি সেতুটি পাথরবোঝাই ট্রাকসহ ভেঙে পড়ে। এছাড়া জেলার ছয় উপজেলায় একাধিক আরসিসি পিলারে নির্মিত সেতু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে গত বছরের পাঁচ অক্টোবর সিরাজদিখানের মধ্যপাড়ার আদাবাড়ী-ধামালিয়া বাজার এলাকায় পোড়াগঙ্গা শাখা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি বাল্কহেডের ধাক্কায় মাঝখানের অংশ ভেঙে যায়। পরে ভেঙে যাওয়া সেতুটি সংস্কারের পর মানুষ যাতায়াত করতে পারলেও এখনও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে গজারিয়ার ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড থেকে কালীপুরা সড়কের কাউনিয়াকান্দি খালে নির্মিত সেতুর ওপর বড় একটি গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এ সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুটি সংস্কার না করায় যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন জানান, বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ৩২টি বেইলি সেতুর স্থলে আরসিসি-পিসি গার্ডারের সেতুটি নির্মাণের লক্ষ্যে সমীক্ষাশেষে চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন পূর্বক ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলছে। ২০২০ সালের মধ্যে এসব ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুর স্থলে আরসিসি-পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া যেসব পাকা সেতু ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে, সেগুলো সংস্কারের প্রক্রিয়াও চলমান। তবে কবে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে তা সঠিকভাবে জানাতে পারেনি মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০