মুন গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ও রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের উচ্চপদস্থ সাবেক সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিলের অনুমতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবদুল হামিদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান খান, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোফাজ্জল হোসেন, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আখতারুল আলম, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আমিরুল ইসলাম, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিউল্লাহ ও সাবেক জ্যেষ্ঠ প্রিন্সিপাল অফিসার মো. রফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চাকরি হারিয়েছেন সৈয়দ আবদুল হামিদ।

তথ্যমতে, রাজধানীর কল্যাণপুরে বিতর্কিত জমিতে নির্মাণাধীন একটি ভবনের অস্বাভাবিক ব্যয় ও আয় দেখিয়ে মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩০ জুন রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, জমির মালিকানা বিরোধ নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সেই সঙ্গে রাজউকও সেখানে ভবন নির্মাণের নকশা বাতিল করেছে। তারপরও সেই জমিতে ভবন নির্মাণ শুরু করে মুন গ্রুপ। পরে অস্বাভাবিক নির্মাণ ব্যয় ও আয় দেখিয়ে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ১০৮ কোটি টাকা মুন বাংলাদেশ লিমিটেডের নামে ঋণ মঞ্জুর করে। মিজানুর রহমানসহ অন্য আসামিরা পর্যায়ক্রমে ৯৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা তুলে নেন। এর মধ্যে ৩৪ কোটি ৩০ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৯ টাকার কাজ করে বাকি ৬০ কোটি ৪৯ লাখ ১৯ হাজার ৬৩০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে ওই অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০