ক্রীড়া প্রতিবেদক: বরিশাল বুলসের অন্যতম মালিক তিনি। আবাহনী লিমিটেডের শীর্ষ কর্তা। আবার একজন বোর্ড পরিচালকও। সব মিলিয়ে আবদুল আওয়াল চৌধুরী ভুলু ক্রীড়াঙ্গনে একজন পরিচিত মুখ। সেই তিনিই মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলায় পড়তে যাচ্ছেন শাস্তির মুখে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকের কথায় এমন ইঙ্গিত মিলিছে।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বেসরকারি টিভি চ্যানেলের একটি সাক্ষাৎকারে গতবারের বরিশাল বুলসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে এবার ছেড়ে দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় ভুলু যা বলেছেন, তা গত এক যুগে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়কের গড়ে তোলা ক্রিকেটীয় সৌধ চুরমার করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সেসব মন্তব্য স্বভাবতই শেল হয়ে বিঁধেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মনেও। এর দায় বর্তায় বিসিবির ওপর। দুঃখজনক হলেও সত্য, আবদুল আওয়াল চৌধুরী ভুলু মুশফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার আগে এসব খুঁটিয়ে দেখেননি। একজন বোর্ড পরিচালক হিসেবে তার কিছুটা চিন্তা করা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। এতে করে তার নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য বোধও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
এমন অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত মন্তব্যের কারণে আবদুল আওয়াল চৌধুরী ভুলুকে শোকজ করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। গতকালই শোকজ নোটিস পৌঁছেছে তার কাছে। তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে গুঞ্জন রয়েছে, বড় ধরনের অর্থদণ্ড হতে পারে ভুলুর। অনেকেই আবার ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে তাকে বাদ দেওয়ার কথা বলছেন। আবারও এমনও হতে পারে, শুধু দুঃখ প্রকাশেও এবার পার পেতে পারেন তিনি। আসলে শাস্তির ধরনটা কেমন হবে, এ ব্যাপারটি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কিছু যে হচ্ছেই, তা বলাই যায়। সেটা বোর্ডপ্রধান দেশে ফিরে আসার পরই হয়তো জানা যাবে।