নিজস্ব প্রতিবেদক: জালিয়াতির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের রেঞ্জ রোভার গাড়ি ব্যবহার করার অভিযোগে মুসা বিন শমসেরকে তলব করেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। গতকাল বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা অধিদফতরের পাঠানো এক চিঠিতে তাকে এ তলব করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষে মুসা বিন শমসেরকে চিঠি দেন সহকারী পরিচালক দিপা রানী হালদার। গত মঙ্গলবার ধানমন্ডির একটি বাড়ি থেকে মুসা বিন শমসেরের কালো রংয়ের রেঞ্জ রোভার গাড়িটি আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, শুল্ক ফাঁকি, মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তদন্তের প্রয়োজনে তাকে তলব করা হয়েছে। আগামী ২০ এপ্রিল বিকাল ৩টায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কাকরাইলের সদর দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে তাকে। একইসঙ্গে গাড়িটি যার নামে ভোলার বিআরটিএ থেকে নিবন্ধন (নং-ভোলা-ঘ-১১-০০৩৫) নেওয়া হয়েছে, সেই ফারুকুজ্জামান চৌধুরীকেও একই দিন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, গাড়িটি মুসা বিন শমসের ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতেন। এখন শুল্ক আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে তদন্ত শেষে মামলা ও পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের সম্পদ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে মুসা ও ব্যবসায়ী টিপু আলমের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীর জন্য নোটিস জারি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সুইস ব্যাংকে তার ১২ বিলিয়ন ডলারের বিষয়ে তথ্য জানতে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছেও চিঠি পাঠায় সংস্থাটি। টিপু আলম মুসার ছোট ছেলে জুবি হাজ্জাজের শ্বশুর কে এম শহিদুল্লাহর ভাগ্নে ও ব্যবসায়িক অংশীদার। জুবির স্ত্রী নাসরিন সুলতানা সুমি টিপু আলমের খালাতো বোন। দুদকের অনুসন্ধানে মুসার সঙ্গে টিপু আলমের ‘পরোক্ষ’ সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে এর আগে তাকেও দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।