নিজস্ব প্রতিবেদক: মুসা বিন শমসেরের ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক-গোয়েন্দা অধিদফতর। গাড়িটি রঙ বদলে চালানো হচ্ছিলো বলে শুল্ক-গোয়েন্দা জানিয়েছে। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চালানো এ ব্যবসায়ীর রেঞ্জ রোভার গাড়িটি নানা নাটকীয়তার পর গতকাল বিকালে ধানমন্ডির একটি বাড়ি থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয় বলে অধিদফতরের মহাপরিচালক মইনুল খান জানান।
অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, অবৈধ গাড়িটি জমা দিতে গতকাল সকাল ৮টায় নোটিস দেওয়া হয় মুসাকে। তখন তিনি বাড়ি থেকে গাড়িটি সরিয়ে ফেলেছিলেন। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে চলা গাড়ি ধরতে গত বছর অভিযান শুরু করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ; এর মধ্যেই মুসার গাড়িটির খবর পান গোয়েন্দারা। শুল্ক গোয়েন্দারা বলেন, গুলশান ২ নম্বরের ১০৪ নম্বর সড়কে মুসার বাড়িতে গাড়িটি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায় বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে। কিন্তু এই ফাঁকে গাড়িটি অন্য স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়।
মইনুল খান জানান, গাড়িটিতে করে সকালে নাতিকে ধানমন্ডির স্কুলে পাঠান মুসা। দুপুরে শুল্ক গোয়েন্দারা বাড়িতে অভিযান চালানোর পর গাড়িটি আর বাড়িতে আনা হয়নি। নাতিকে অন্য একটি গাড়িতে করে বাসায় আনা হয়। শুল্ক গোয়েন্দার দল গাড়িটির খোঁজ করতে করতে ধানমন্ডির ৬ নম্বর সড়কের ৫১ নম্বর বাড়িতে গাড়িটি পান। সেখান থেকে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গাড়িটি জব্দ করা হয়।
গাড়িটির বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর জানায়, গাড়িটির বিষয়ে মুসা বিন শমসেরকে তলব করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাড়িটি যখন উদ্ধার করা হয়, তখন এটি ছিল কালো রঙের। তবে নথিপত্র দেখে এর রঙ সাদা ছিল বলে শুল্ক গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন। শুল্ক গোয়েন্দারা জানান, গাড়িটি আগে ছিল সাদা রঙের; পরে রঙ বদলানো হয়। তারা বলেন, ভুয়া আমদানি দলিল দিয়ে গাড়িটির নিবন্ধন করা হয়েছিল।
শুল্ক-গোয়েন্দা কাগজপত্র যাচাই করে জানায়, ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের ১০৪৫৯১১ বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে শুল্ক দিয়ে ভোলা থেকে নিবন্ধন করা হয়। কাস্টম হাউজের নথি যাচাই করে এ বিল অব এন্ট্রি ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। ভোলার বিআরটিএ কার্যালয় থেকে শুল্ক গোয়েন্দাদের জানানো হয়, গাড়িটি পাবনার ফারুকুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির নামে নিবন্ধন নেওয়া হয়। এটি মুসা বিন শমসের ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করেছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা।
Add Comment