নিজস্ব প্রতিবেদক: রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে এ হত্যাকাণ্ডে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগের মধ্যে গতকাল এক বিবৃতিতে এ আশ্বাস দেন তিনি।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাকে গত বুধবার অজ্ঞাত পরিচয়ের অস্ত্রধারীরা গুলি করে হত্যা করে। এর তিনদিন পর দেয়া বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘মুহিবুল্লাহ হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করা হবে।’
পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে পরিচিত মুহিবুল্লাহ ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে আলোচনায় এসেছিলেন। জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থায় রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্বও করেছিলেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের আরেকটি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করছে তার পরিবার। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও রোহিঙ্গাদের কোনো উপদলকেই সন্দেহ করছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুহিবুল্লাহ নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত যেতে চেয়েছিলেন, সে কারণে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাকে হত্যা করেছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডে যে বা যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে উখিয়ায় শরণার্থী শিবির থেকে এক রোহিঙ্গাকে আটকের কথা জানিয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
মিয়ানমারে নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গার বেশিরভাগই রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শরণার্থী শিবিরে। এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির।
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার চার বছর আগে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করলেও এখনও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি।