নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। গত ২ মার্চ কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৬০ টাকা ২০ পয়সা, যা গত ৪ মার্চ লেনদেন হয় ৬৭ টাকা ৪০ পয়সায়। এ হিসাবে মাত্র দুই কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে সাত টাকা ২০ পয়সা। আর এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
এদিকে সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। আর গত বছরের তুলনায় এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে তিন পয়সা।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৯ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস তিন পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ১০ টাকা ৪২ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১০ টাকা ৬৬ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৫৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৬০ পয়সা।
সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছয় দশমিক ৫৩ শতাংশ বা চার টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৭১ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭১ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ৯ লাখ ৮৬ হাজার ৫২৩টি শেয়ার মোট এক হাজার ৮০০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছয় কোটি ৮২ লাখ ১৬ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭২ টাকায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৭২ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ১২ কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩০ দশমিক ৪০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ২২ দশমিক ৭৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।