Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 4:15 am

মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই অস্বাভাবিক শেয়ারদর বাড়ছে ফু-ওয়াং ফুডের

নিজস্ব প্রতিবেদক:শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক লেনদেন এবং দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। গত ১৪ আগস্ট থেকে ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়ছে। ওই কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ২৫ টাকা ৯০ পয়সা, যা গত ৩ আগস্ট লেনদেন হয় ৪০ টাকা ৪০ পয়সায়। এ হিসাবে ১৩ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে ১৪ টাকা ৫০ পয়সা। আর এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।

এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ বা ১ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪১ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনি¤œ ৩৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৩ টাকায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির এক কোটি ৫৯ লাখ ২ হাজার ৭৪টি শেয়ার ১১ হাজার ৮২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬৫ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ৪৬ টাকা ৯০ পয়সা ও সর্বনি¤œ ২৩ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এই কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। কোম্পানিটির ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট ১১ কোটি ৮ লাখ ৩৯ হাজার ২৮৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ০১ শতাংশ এবং বাকি ৮৫ দশমিক ০৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত প্রথমার্ধের বা ছয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮ পয়সা।

এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২৬ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ১৮ পয়সা। এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৫ পয়সা।

এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। ওই হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৫ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছিল ১১ টাকা ৮৫ পয়সা। এছাড়া ওই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৩৬ পয়সা।