Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 4:34 am

মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই সামিট পাওয়ারের শেয়ারদরে পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর পতনের পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের। সম্প্র্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর কমার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর কমার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিশ পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর কমছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। গত ২০ মে থেকে ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমছে। ওই কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ২২ টাকা ২০ পয়সা, যা গত ১১ জুন লেনদেন হয় ২০ টাকা ২০ পয়সায়।

তবে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ বা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২০ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়; যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনিম্ন ২০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির ২৯ হাজার ১৫৩টি শেয়ার ৭৮ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৬ লাখ টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ৩৪ টাকা ও সর্বনিম্ন ২০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ০২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৪ পয়সা।

সামিট পাওয়ার লিমিটেড ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। তাদের এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ১০৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০৬ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৯ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬৩ দশমিক ১৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে তিন দশমিক ৬৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সামিট পাওয়ার ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৮৭ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৭২ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৯১ পয়সা। এর আগে সামিট পাওয়ার ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে পাঁচ টাকা ২৫ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে আট টাকা ৫৩ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বমোট ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে পাঁচ টাকা ১৭ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৪২ পয়সা।