Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 10:27 pm

মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই দর বাড়ছে দুই কোম্পানির

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই তেল ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস লিমিটেড ও প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিগুলো এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস লিমিটেড: গত ২৫ মার্চ সোমবার শেয়ারদর ছিল এক হাজার ৪১০ টাকা ২০ পয়সা, আর গত বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ছিল এক হাজার ৫০৩ টাকা ৪০ পয়সা। এ হিসেবে দুই কার্যদিবসে দর বেড়েছে ৯৩ টাকা ২০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
আর গতকালও কোম্পানিটির শেয়ারদর ছয় দশমিক ২৫ শতাংশ বা ৯৩ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ এক হাজার ৫৯৭ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল এক হাজার ৫৯৭ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে ২৯ হাজার ১৬৯টি শেয়ার মোট এক হাজার ৫৫৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর চার কোটি ৫৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এক বছরে শেয়ারদর ৯৬৫ টাকা থেকে এক হাজার ৭৫৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানির পাঁচ কোটি টাকার অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৩ কোটি ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। তেল ও জ্বালানি খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে।
কে অ্যান্ড কিউ: গত ২৫ মার্চ সোমবার শেয়ারদর ছিল ২২৪ টাকা ৭০ পয়সা, আর গতকাল রোববার লেনদেন হয় ২৩৯ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ তিন কার্যদিবসে দর বেড়েছে ১৫ টাকা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৪৮ শতাংশ বা পাঁচ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৩৯ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার মোট মূল্য ছিল তিন কোটি ৪২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ২৩৯ টাকা ৭০ পয়সায়। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৩৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৪৫ টাকায় হাত বদল হয়।
‘বি’ ক্যাটেগরির কে অ্যান্ড কিউ লিমিটেড ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯১ পয়সা আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ৫৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে পাঁচ পয়সা ও ১১ টাকা ৪৫ পয়সা লোকসান। আর আলোচিত সময়ে কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন চার কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।