নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই ফাইন ফুডস লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
চলতি মাসের তিন তারিখ কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৩০ টাকা ৫০ পয়সা, যা গত বুধবার লেনদেন হয় ৩৯ টাকা ১০ পয়সায়। এ হিসাবে আট কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানিটির দর বেড়েছে আট টাকা ৬০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
সর্বশেষ কার্যদিবসে শেয়ারদর দুই দশমিক ৮১ শতাংশ বা এক টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৮ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৭ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে সাত লাখ ৮৮ হাজার ১০৪টি শেয়ার মোট এক হাজার ২৫৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি চার লাখ ৮৮ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ২১ টাকা থেকে ৫৪ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৩০ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৩ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি দুই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১১ টাকা পাঁচ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা ১ মিনিটে প্রজেক্ট-১, মন্ডুলভোগ, মানিকহালি, কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ সময় ইপিএস ছিল ৮২ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৬১ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে এক কোটি ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকা।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে চার পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৯ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ১৫ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১০ টাকা ৮০ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
মোট এক কোটি ৩৩ লাখ ৮৯৪টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের এক দশমিক শূন্য সাত শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক এক দশমিক ৭৭ শতাংশ ও ৯৭ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।