মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই মুন্নু সিরামিক ও এটলাসের

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই তালিকাভুক্ত কোম্পানি মুন্নু সিরাকিম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিগুলো এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
মুন্নু সিরামিক: জুন মাসের ৭ তারিখে শেয়ারদর ছিল ১৬৬ টাকা ৩০ পয়সা, যা গতকাল লেনদেন হয় ২৭২ টাকা ৭০ পয়সায়। এ আট দিনে দর বেড়েছে ১০৬ টাকা ৪০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
গতকাল শেয়ারদর এক দশমিক ১৩ শতাংশ বা তিন টাকা ১০ টাকা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৭১ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৭২ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে সাত লাখ ১১ হাজার ৮৯৭টি শেয়ার মোট তিন হাজার ৬৭৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৯ কোটি ৩৩ লাখ চার হাজার টাকা। এক বছরে শেয়ার দর ৩৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ২৮৫ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে পাঁচ শতাংশ বোনাস ও পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ৯৪ টাকা ৩২ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৭ লাখ ২০ হাজার টাকা।
এটলাস বাংলাদেশ: জুন মাসের ১২ তারিখে শেয়ারদর ছিল ১৩৩ টাকা, যা গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ১৬৭ টাকা ৮০ পয়সা। এ চার দিনে দর বেড়েছে ৩৪ টাকা ৮০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
গতকাল শেয়ারদর আট দশমিক ৮২ শতাংশ বা ১৪ টাকা ৮০ টাকা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৫৩ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৫২ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৯০৫টি শেয়ার মোট এক হাজার ৩৫৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর চার কোটি ২৫ লাখ চার হাজার টাকা। এক বছরে শেয়ারদর ১১২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৬৯ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দুই শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০