মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই খুলনা প্রিন্টিংয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
গত ২০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা, যা গতকাল লেনদেন হয় ১২ টাকা ৫০ পয়সায়। এ হিসাবে চার কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে তিন টাকা ৪০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
সর্বশেষ কার্যদিবসে শেয়ারদর চার দশমিক ১৩ শতাংশ বা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১২ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১২ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৫১২টি শেয়ার মোট ৪৮৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৪৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর আট টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১৫ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। ওই সময় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা ২২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৫ টাকা ৮৯ পয়সা। কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছে আট কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা আগের বছর ছিল পাঁচ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫১ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৩৯ পয়সা। এটি আগের বছর ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ৭৫ পয়সা ও ৪৩ টাকা ১৬ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১০ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ৯ কোটি ৮৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০