মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের

নিজস্ব প্রতিবেদক:শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বিমা খাতের কোম্পানি সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
গত ২২ সেপ্টেম্বর কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ২৭ টাকা ৮০ পয়সা, যা গত ২৯ সেপ্টেম্বর লেনদেন হয় ৩৬ টাকা ৭০ পয়সায়। এ হিসাবে মাত্র ছয় কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে আট টাকা ৯০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর চার দশমিক ১৬ শতাংশ বা এক টাকা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৪ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৪ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৯টি শেয়ার এক হাজার ৬২৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর পাঁচ কোটি ৯৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৬৯ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৭ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২১ কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
বিমা খাতের এই কোম্পানিটি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির মোট তিন কোটি ৭৭ লাখ ৭৪ হাজার ৯৫০টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে ৩৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৪ দশমিক ছয় শতাংশ ও বাকি ৪৯ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২০ দশমিক ৯০ ও হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৮ দশমিক সাত।
কোম্পানিটি ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ছয় শতাংশ নগদ ও ছয় শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৭ টাকা ৩৬ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৮ পয়সা। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরের সমান। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয় ১৯ টাকা ৬২ পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৭৭ পয়সা ও ১৯ টাকা ২৭ পয়সা। ২০১৭ সালে মোট মুনাফা করে পাঁচ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল পাঁচ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০