নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। গত ৭ জুলাই থেকে ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়ছে। ৭ জুলাই কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৬৬ টাকা ১০ পয়সা, যা গত ১৪ জুলাই লেনদেন হয় ১০১ টাকা ৪০ পয়সায়। এ হিসাবে মাত্র পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে ৩৫ টাকা ৩০ পয়সা। আর এ দর বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর চার দশমিক শূন্য চার শতাংশ বা চার টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১০৫ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১০৫ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৫৬৬টি শেয়ার এক হাজার ৩৭১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি দুই লাখ ৯৭ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ১০২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৫২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১০২ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭২ পয়সা (লোকসান) এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪৮ টাকা ২৩ পয়সা।
এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ১২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪৯ টাকা ৬১ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী লোকসান করেছে চার কোটি ৫৭ লাখ টাকা। জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন আট কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১১১ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা।