Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 9:56 pm

মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২’ বিষয়ক কর্মশালা গতকাল ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় প্রায় ২০০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় রাজস্ব বোডের্র (এনবিআর) মূসক বিধি ও আইন শাখার দ্বিতীয় সচিব তারেক হাসান, ঢাকা চেম্বারের আহ্বায়ক এম শফিকুল আলম ও ডিসিসিআই’র ট্যাক্স কনসালটেন্ট স্নেহাশীষ বড়ুয়া নতুন ভ্যাট আইনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং প্রশিক্ষণার্থীদের ভ্যাট আইন বিষয়ে সম্যক ধারণা দেন।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ওসামা তাসীর, ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, সহসভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, শামস মাহমুদ, খ. রাশেদুল আহসান, সাবেক ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি আবদুস সালাম, সহসভাপতি এম আবু হোরায়রাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর প্রশিক্ষণার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ঢাকা চেম্বারের সদস্যদের পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মাঝে ভ্যাট আইনের নানা দিক সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ডিসিসিআই এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করেছে। তিনি জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে মূসক থেকে সর্বাধিক পরিমাণ এক লাখ ২৩ হাজার ৬৭ কোটি টাকা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ‘ভ্যাট আইন ২০১২’-এর কোনো ধারা ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে তা লিখিত আকারে ডিসিসিআই’কে জানানোর আহ্বান জানান।
চেম্বার সভাপতি, ভ্যাট আইনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা যেন হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে আন্তরিক হওয়ার জন্য রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনে তারেক হাসান বলেন, ‘ভ্যাট আইন ২০১২’-এ বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ করা হয়েছে।
ঢাকা চেম্বারের আহ্বায়ক এম শফিকুল আলম উৎসে মূসক কর্তনের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের আরও সচেতন ও সাবধানি হওয়ার পরামর্শ দেন।