শেয়ার বিজ ডেস্ক: নতুন নিউমোনিয়াসদৃশ করোনাভাইরাসে চীনে একদিনেই আরও ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস শুক্রবার পর্যন্ত ২৫৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এ সংখ্যা বিবেচনায় প্রাণঘাতী ভাইরাসটি ২০০৩ সালের সিভিয়ার অ্যাকুট রেসপিরেটরি সিনড্রোমে (সার্স) আক্রান্তের সংখ্যাকে অতিক্রম করেছিল। খবর: বিবিসি।
২০০২-০৩ সালে ২৫ দেশে ছড়িয়ে পড়া সার্স মহামারিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল আট হাজার ১০০-এর কাছাকাছি। গত শুক্রবার একদিনের ব্যবধানেই চীন নতুন করে আরও দুই হাজার ১০২ জনের নিউমোনিয়াসদৃশ করোনাভাইরাসটিতে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে। গতকাল শনিবার এ দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলেছে, সব মিলিয়ে চীনেই প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১১ হাজার ৭৯১ জনে।
চীনের যে প্রদেশ থেকে এ ভাইরাস ছড়ানো শুরু হয়েছে, সেই হুবেই’র বেশিরভাগ এলাকা কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বেশিরভাগ সড়ক আটকে দেওয়া হয়েছে, বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। ভাইরাসটি আরও ছড়াতে পারে শঙ্কায় সাম্প্রতিককালে চীন ভ্রমণ করা বিদেশি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। দেশটির তিনটি প্রধান এয়ারলাইনসও চীনের মূল ভ‚খণ্ডে তাদের ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে।
সংক্রমণ থামাতে চীনের বিভিন্ন শহরেও নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। উত্তর চীনের দেড় কোটি বাসিন্দার তিয়ানজিন শহরের সব স্কুল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এদিকে ভাইরাস ঠেকাতে হুবেই ও উহানের বাসিন্দাদের অবরুদ্ধ করে রাখার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চায়না হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার। তারা বলেছে, ‘লাখ লাখ মানুষকে আক্রান্ত করা ও ২০০’র বেশি প্রাণ কেড়ে নেওয়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চীন সরকারের কর্মকাণ্ডে কোনোভাবেই মানবাধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ মানবাধিকার সংগঠন সমালোচনা করলেও চীনের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ভ‚য়সী প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও)। গত বৃহস্পতিবার নতুন করোনাভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক সতর্কতাও জারি করেছে তারা। করোনাভাইরাসের কারণে ফেব্রæয়ারির শেষে কুনমিংয়ে হতে যাওয়া জীববৈচিত্র্য-সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে একটি বৈঠক ইতালির রোমে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ।