‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ আমাদের দেশকে জানার ইতিহাস: প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার বিজ ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ঘিরে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর এই ভাস্কর্যটি নিছক একটি ভাস্কর্য নয়। এটি দেশকে জানার একটি ইতিহাস। গতকাল শুক্রবার নগরীর বিজয় সরণিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার এই ভাস্কর্যটি নিছক একটি ভাস্কর্য নয়। এটি একটি ইতিহাস। এটি আমাদের দেশকে জানার ইতিহাস।’ সূত্র: বাসস

এই মৃত্যুঞ্জয় প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘মৃত্যুঞ্জয়’ নামে একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে, যা ২০২১ ও ২০২২ সালের বিজয় দিবসের প্যারেডে প্রদর্শিত হয়েছিল। এই চত্বরের কেন্দ্রস্থলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে দেয়ালে ম্যুরালও স্থান পেয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত এই চত্বরের সাতটি দেয়ালে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে অন্যান্য আন্দোলন ও বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতার নেতৃত্ব ও অবদান চিত্রিত করা হয়েছে।

উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ পরিদর্শন করেন এবং পরে সেখানে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রী এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ও আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সংগ্রাম ছিল বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক মুক্তির জন্য। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৮ সালে যখন মাতৃভাষা বাংলার অধিকার হরণ করার চেষ্টা হয়েছিল তখর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। এরপর থেকে বঙ্গবন্ধু এর প্রতিবাদ এবং আন্দোলন শুরু করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এর ধারাবাহিকতায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় এবং মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সংগ্রাম শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা সেই সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি।’

জাতির পিতা তার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে এই স্বাধীনতা ও যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অস্ত্র তুলে নিয়েছে, যুদ্ধ করেছে এবং বিজয়ী হয়েছে।

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং একটি উন্নয়নশীল জাতির মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশকে সমুন্নত রেখে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

সেখানে উপস্থিত শিশুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজকের শিশুরাই আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক। আমাদের শিশুরাই স্মার্ট বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে, বাংলাদেশ পরিচালনা করবে। এভাবেই তোমরা নিজেদের গড়ে তুলবে।’

শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি কথা (আপনাদের) মনে রাখতে হবে যে শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। অর্থ, সম্পদ কিছুই সম্পদ নয়। (আসল) সম্পদই একমাত্র শিক্ষা। শিক্ষা ভালোভাবে গ্রহণ করলে, কেউ তার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না ছিনতাইও করতে পারবে না, এটা তোমার কাছেই থাকবে। আর শিক্ষা থাকলে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করা যায়।’

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০