নিজস্ব প্রতিবেদক: মহামারি করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এ পর্যায়ে এসে কভিডে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত এক দিনে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫০৯ জন।
গতকাল সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ৫০৯ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫৩ হয়েছে। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মোট মারা গেছেন আট হাজার ৮৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬১১ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে চার লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৬ হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ। সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা সোয়া পাঁচ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছর ২ জুলাই চার হাজার ১৯ কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পর গতবছর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছর ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এদিকে বিশ্বে শনাক্ত কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এরই মধ্যে ১০ কোটি ৯ লাখ পেরিয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২১ লাখ ৭৫ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্ত হওয়ার দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬০টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২০৪টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৮৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৬ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৮টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্ত হওয়ার হার তিন দশমিক ৪৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হওয়ার হার ১৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। রোগী শনাক্ত হওয়ার বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫১ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ লাখ ২৭ হাজার ৩৩০টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে সাত লাখ ৮৮ হাজার আটটি। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে আছেন ১২ পুরুষ ও তিন নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি এবং একজন করে মোট দুজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ ও ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।