Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 7:16 pm

মৃত্যু ৩৮, আক্রান্ত ১৫১৪ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক: মহামারি কভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে গত এক দিনে আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে; নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৫১৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে সাত লাখ ৭৫ হাজার ২৭ জন হয়েছে। আর কভিডে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৯৭২ জন।

সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে এক দিনে আরও দুই হাজার ১১৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ১২ হাজার ২৭৭ জন।

বাংলাদেশে কভিড-১৯ এ প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছর আট মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড সাত হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১ মে তা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিশ্বে শনাক্ত কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ৮৩ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ ৯৩ হাজারের বেশি মানুষের।

যুক্তরাষ্ট্রেরে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। মৃতের সংখ্যায় ৩৭তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪৫৪টি ল্যাবে ১৬ হাজার ৮৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৬ লাখ ৪৭ হাজার ৭৪২টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার আট দশমিক ৯৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৯০ শতাংশ, মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ লাখ ৪৬ হাজার ১৯৭টি; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ এক হাজার ৫৪৫টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ২৫ জন পুরুষ আর নারী ১৩ জন। তাদের ২৬ জন সরকারি হাসপাতালে, ১০ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। বাসায় মারা গেছেন দুজন।

তাদের মধ্যে ২৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, সাতজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, পাঁচজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর ও এক জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ছয়জন রাজশাহী বিভাগের, দুজন বরিশাল বিভাগের, তিনজন সিলেট বিভাগের ও একজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

এ পর্যন্ত মৃত ১১ হাজার ৯৭২ জনের মধ্যে আট হাজার ৬৭৮ জন পুরুষ ও তিন হাজার ২৯৪ জন নারী।